তুষার সম্পর্কে যা বললেন এনসিপির সেই নারী নেত্রী নীলা ইসরাফিল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীরর কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এনসিপির একাধিক নেত্রীকে নিয়ে নানা গুজব ও মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন এনসিপির নেত্রী নীলা ইসরাফিল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘নেপালে যাওয়ার পর থেকে তুষার প্রায়ই ফোন করতো ও তার আলাপের ধরন পাল্টাতে থাকে। সে আমাকে বিভিন্নভাবে অ্যাপ্রোচ করতে থাকে— ‘তোমার ছবি দাও’, ‘তোমার ঠোঁট সুন্দর’, ‘তোমার স্লোগান, তোমার প্রতিবাদী কণ্ঠ আমাকে আকৃষ্ট করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি তুষারকে এই ধরনের আলাপে সব সময়েই বিব্রতবোধ করেছি এবং তাকে আমাদের সম্পর্ক সাংগঠনিক ও ফর্মাল রাখতে অনুরোধ রেখেছি। যেহেতু বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি, এনসিপি আমার জীবনের প্রধান অবলম্বন, আমি তুষারকে তার আগ্রাসী আচরণ সংযত রেখে, ফর্মালভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখি। বাংলাদেশের অসংখ্য নারীকে ক্ষমতাবান পুরুষের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়।’’
নীলা জানান, ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে এনসিপির আত্মপ্রকাশের দিন তিনি বাংলাদেশে ফেরেন। এরপর একদিন রমজান মাসে তুষার তাকে ‘‘অত্যন্ত আপত্তিকর একটি কথা’’ বলেন, যা তাকে বিব্রত করে। তিনি তুষারকে বলেন, আর কথা বলতে চান না, কিন্তু তুষার তাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তুষার জানায়, ‘‘ডিটেকটিভ পুলিশ বা ডিবি ওর সাথে কথা বলেছে’’ এবং সেই বিষয়ে আলাপ করতে চায়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘তুষার আমাকে ডিবির কথা বলেছে, তাই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চয়ই আইনি, ডিবি ও পুলিশসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হতে পারে এবং আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো বিষয় থাকতে পারে—এই বিবেচনায় আমি আলাপটি রেকর্ড করি। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলাপে ৪৭ মিনিট আমি রেকর্ড রাখি। তুষার আমাকে জানায়, ডিবি তাকে নীলা ইস্রাফিল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং সে ডিবিকে জানিয়েছে যে নীলা তার গার্লফ্রেন্ড—যা নিয়ে আমি তুষারকে প্রশ্ন করি। তাছাড়া আমরা তুষারের খারাপ প্রস্তাব নিয়েও আলাপ করি। আমি তাকে প্রশ্ন করি, আমার কোনো অ্যাটিটিউড, ব্যবহার বা আচরণে মনে হয়েছে আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব করা যেতে পারে? তুষার আমাকে বিষয়টি ভুলে যেতে বলে।’’
নীলা জানান, ঈদের রাতে একটি অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বিষয়টি জানান। এরপর নাহিদ তাকে মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার কাছে বিষয়টি জানাতে বলেন। সেই অনুযায়ী শাহরিয়ার ও নিজামকে বিষয়টি জানানোর পরের দিনই অডিওটি কেটে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি লিখেছেন, ‘‘এরপর আমাকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হয়, তাতে আমি দেখতে পেয়েছি, আমার নারী সহকর্মীরাও আমার পক্ষে দাঁড়ায় নাই।’’