ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ২২ জুন ২০২৫ রবিবার

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে এবং হামলা শেষে সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে আছে। খবর বিবিসির।
এর কিছুক্ষণ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার পোস্ট করেন, 'ফোর্দো ইজ গন' অর্থাৎ 'ফোর্দো শেষ।'
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলায় বি-টু বোমারু বিমান জড়িত ছিল।
এর আগে, মার্কিন বি-টু স্টিলথ বোমারু বিমানগুলোকে মার্কিন দ্বীপপুঞ্জ গুয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। যার ফলে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় যে বিমানটি ইরানে মার্কিন হামলায় জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান। দেশটির কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি ভাষ্যকার বলেছেন, এই অঞ্চলের প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক এখন একটি বৈধ লক্ষ্য।
সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, কোম প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্টের মুখপাত্র মোর্তোজা হায়দারি বলেন, "ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রের একটি অংশ বিমান হামলার শিকার হয়েছে।"
ইসফাহানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপ-গভর্নর আকবর সালেহি বলেছেন, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আমরা ইসফাহান ও নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনার কাছে হামলা দেখেছি।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা করার কথা দাবি করেছেন, সেই তিনটি স্থানেই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানিয়ান কর্মকর্তারা।
পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এরই মধ্যে খালি করার কথা জানিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের ডেপুটি পলিটিক্যাল ডিরেক্টর হাসান আবেদিনি স্থানীয় সময়ে কিছুক্ষণ আগে মাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছেন, ইরান 'কিছুক্ষণ আগে' এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা খালি করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, ট্রাম্প যা বলেছেন তা যদি সত্য হয়ও ইরান ‘বড় কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি, কারণ পারমাণবিক কেন্দ্রের উপকরণগুলো ইতোমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’
এদিকে, ইরানে ট্রাম্পের হামলার সিদ্ধান্তের পর এর পক্ষে-বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের মধ্যে।
কয়েকজন সিনেটর যেমন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনি কেউ কেউ এটিকে 'অসাংবিধানিক' বলে সমালোচনাও করেছেন।
এএইচ