ঢাকা, শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৫ ১৪৩২

রাজবাড়ী কৃষি বিপণন কার্যালয়ে ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ২২ জুন ২০২৫ রবিবার

রাজবাড়ী জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কার্যালয়ে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরের জন্য আবেদন করতে আসা কৃষকদের কাছ থেকে অফিস সহায়ক এনামুল হক কর্তৃক টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে, যদিও কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, সরকারি প্রকল্পে আবেদন করতে এসে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছেন তারা। 
আবেদনপত্র গ্রহণের সময় ঘুষ না দিলে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। ১৯ জুন ছিল আবেদন জমার শেষ দিন। কৃষকরা বলেন, আবেদন বাতিলের আশঙ্কায় নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে আবেদন জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কৃষক জানান, আমি পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘরের জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে ৩০০ টাকা চাওয়া হয়। পরে ২০০ টাকা দিয়ে আবেদন জমা দেই। রশিদ তো দেয়নি, বলে ফটোকপির খরচ।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কৃষক এনামুল হকের হাতে আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন। এরপর আবেদন খাতায় লিপিবদ্ধ করার পর এনামুল সেই কৃষকের হাত থেকে টাকা নিয়ে রেখে দিচ্ছেন। 

আরেকটি ভিডিওতেও অনুরূপভাবে আরেক কৃষকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।

তবে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজনের কাছ থেকে ভাংতি টাকা নিয়েছিলাম, কেউ ভিডিও করেছে। আমি কারো কাছ থেকে ঘুষ নেইনি।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নাঈম আহম্মদ বর্তমানে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রশিক্ষণে থাকায় কিছু বলতে পারছি না। একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান জানান, আমি বর্তমানে পাবনা জেলায় দায়িত্বে আছি। তবে রাজবাড়ীতে আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম। রাজবাড়ী গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এএইচ