মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২৩ জুন ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫৯ পিএম, ২৩ জুন ২০২৫ সোমবার

ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কাসরুক এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে মার্কিন সেনাদের অবস্থানে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলার পর ঘাঁটির আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পরপরই ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে মার্কিন বাহিনী এবং এলাকায় ড্রোন ও হেলিকপ্টারের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়।
হামলাকারীদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয়। কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকারও করেনি। তবে আগে থেকে অনুমান করা হচ্ছিল, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে।
এই হামলার সময়টিও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। মাত্র কয়েকদিন আগেই ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় ইসরায়েল ইরানে আকস্মিক হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’ শুরু করে, যার আওতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় এই সাম্প্রতিক হামলা মূলত বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।
হাসাকার ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা হোয়াইট হাউস থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক মহল বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। এটি সিরিয়ায় মার্কিন উপস্থিতির ওপর সরাসরি আঘাত।
হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন পুরো অঞ্চল ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে টালমাটাল। ইরানপন্থি গোষ্ঠীর সক্রিয়তা নতুন করে আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও জটিল করে তুলবে। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো প্রতিশোধমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলে সংঘাতের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।
এমবি//