ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, ঘোষণা ট্রাম্পের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২২ এএম, ২৪ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি 'সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক' যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর বিবিসি’র
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী "প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে" এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যখন উভয় দেশ তাদের চলমান সামরিক অভিযান ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেবে।
এই যুদ্ধকে ''১২ দিনের যুদ্ধ'' বলে নাম দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ঘোষণায় ধীরে ধীরে উভয় দেশের বৈরিতার অবসানের কথা বলা হয়েছে। তবে তিনি বলেছেন, "২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে" এই যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ বলে বিবেচিত হবে।
এই ঘোষণায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এটি এমন একটি যুদ্ধ ছিল যা "বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত", কিন্তু তা হয়নি—এবং আর কখনো হবে না।
তবে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
তার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের ঘনবসতিপূর্ণ সেভেনথ ডিস্ট্রিক্ট এলাকা খালি করে দেয়ার জন্য বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। এরপর সেখানে বিমান হামলার কথা জানা গেছে।
পাল্টা জবাবে ইসরায়েলির কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার সকালে সেসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্পের “সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতির” ঘোষণার প্রায় আধা ঘণ্টা আগেই, মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছিল—একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা তাদের বলেছেন, তেহরান এখনো কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি নেতাদের বক্তব্য “প্রতারণামূলক”—যার উদ্দেশ্য হলো ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে শত্রুরা ইরানের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, আর ইরান তার পাল্টা হামলা আরও জোরদার করার দ্বারপ্রান্তে। শত্রুর মিথ্যাচারে কান দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
বিবিসির পার্সিয়ান বিভাগের সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, তেহরান ও কাছাকাছি শহর কারাজ, উত্তর শহর রাশৎ থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের ঘটনার পরে তেহরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল করা হয়েছে।
শেয়ার করুন, ইরানের পক্ষ থেকে এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো নিশ্চিত ঘোষণা আসেনি
যদি এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন একে হোয়াইট হাউসের পররাষ্ট্রনীতিগত অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে দাবি করবে—এমনটাই ধারণা করা যায়।
তবে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। যুদ্ধবিরতি আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
এএইচ