ঢাকা, শনিবার   ২৮ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ১৪ ১৪৩২

যমুনা সেতুতে চলছে রেললাইন অপসারণ, বাড়বে ২টি লেন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ২৮ জুন ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ২৮ জুন ২০২৫ শনিবার

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে নির্মিত দেশের বৃহৎ যমুনা বহুমুখী সেতু থেকে অব্যবহৃত রেললাইন অপসারণ করা হচ্ছে। এতে সেতুতে আরও সাড়ে ৩ মিটার জায়গা বাড়বে। 

শুক্রবার সকাল থেকে সেতুর পূর্ব প্রান্তের কালিহাতি অংশ থেকে স্লিপারের নাট-বল্টুগুলো খোলার এ কাজ শুরু হয়েছে। এরপর স্লিপার অপসরন পর্যায়ক্রমে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, গত ১৮ মার্চ ট্রেন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে নির্মিত যমুনা রেলসেতু চালু হবার পর সড়ক সেতুর রেল লাইনটির প্রয়োজনীয়তা নেই। এজন্য রেললাইন খুলে ফেলার কাজ চলছে। 

এদিকে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানিয়েছেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের ট্র্যাকগুলো খুলে নেয়ায় আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যমুনা সড়ক সেতুকে প্রশস্ত করা হবে। রেললাইন খুলে নেয়া শেষে সড়ক সেতুতে আরও সাড়ে ৩ মিটার জায়গা বাড়বে। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন ৮ মিটারে প্রশস্ত হবে। তবে তা প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।  

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতুটি উদ্বোধন হলেও সেখানে কোনো রেলপথ ছিল না। পরে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সেতুর ওপর উত্তরপাশে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল ধরে। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগতো। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যেত। 

পরে যমুনা বহুমুখী সেতুর ৫শ’ মিটার উত্তর রেলসেতু নির্মাণ হলে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি বছরের ১৮ মার্চ সেতুটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এজন্য প্রয়োজনীয়তা না থাকায় এবং যমুনা বহুমুখী সেতুর নিরাপত্তা ও সেতুর উভয় লেন সম্প্রসারণের প্রয়োজনে রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়।

এএইচ