হলি আর্টিসান হামলার আজ ৯ বছর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার

আজ পহেলা জুলাই, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার ৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালিয়ে প্রথমে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করা হয়। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ইতালির নাগরিক ছিলেন ৯ জন। এ ছাড়া জাপানের সাতজন, ভারতের একজন ও বাংলাদেশি তিনজন ছিলেন।
দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই। অন্যদিকের মতো সবটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে সেদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিসান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে।
সেদিন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্য বেকারিতে ঢুকে প্রথমে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, ১ ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। এই নৃশংস হামলা প্রতিরোধের চেষ্টায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান।
ওইদিন রাতে স্পর্শকাতর পরিস্থিতির কারণে কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকে। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।
পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করে। জঙ্গিগোষ্ঠীটি তাদের বার্তা সংস্থা ‘আমাক’-এর মাধ্যমে গুলশান হামলার দায়িত্ব নিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানায়। আইএস দাবি করে, হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজন তাদের ‘সৈনিক’ ছিল এবং তারা এই হামলার দায় স্বীকার করে।
এ ঘটনার মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
এমবি//