ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২১ ১৪৩২

এ কে আজাদের বাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি: বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মির বিরুদ্ধে মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার

ফরিদপুরে এ কে  আজাদের বাসভবনে ত্রাস সৃষ্টির ঘটনায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফাসহ ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এজাহার করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে হামীম গ্রুপের ল্যান্ড কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাফিজুল খান (৪০) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এ এজাহারটি জমা দেন।

এজাহারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার হোসেন, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  নাজমুল হাসান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদল সহ সভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ প্রমুখ।

এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের শহরের ঝিলটুলীস্থ অফিস কাম বাসভবনে একদল উগ্র সন্ত্রাসী হঠাৎ বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মো. মেহেদী হাসানকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। 

এজাহারে আরও বলা হয়, তিনি (রাফিজুল) আসামিদের গালাগালি শুনে কক্ষ হতে বের হয়ে উঠানে আসার সাথে সাথে গোলাম মোস্তফা হুমকি দিয়ে বলেন, তোর স্যার এ কে আজাদ যেন ফরিদপুর না আসে এবং হুমকি প্রদান করে বলে জনসেবা করার স্বাদ মিটিয়ে দেব। পরে ত্রাস সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায় তারা।

এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, ‘ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের গোপন সভা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ওখানে আমি নিজে কিংবা আমার সাথে যারা ছিলেন তারা কেউ কোন হুমকি-ধামকি দেয়নি। একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি।’

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. এম এ জলিল জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ