নিখোঁজ শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, অভিযোগ ধর্ষণের পর হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০২৫ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের একদিন পর ময়না আক্তার (৯) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ স্থানীয় একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছন্দুমিয়ার পাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শিশু ময়না ওই পাড়ার বাহরাইন প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে লতিফ মোস্তারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসা নূরানী বিভাগে পড়তো।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার দুপুরে ময়না বাড়ি থেকে খেলাধুলা করার জন্য বের হয়। এরপর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর মাইকিংও করা হয়। পরে আজ সকালে শিশুরা হাবলিপাড়া জামে মসজিদে গেলে দ্বিতীয় তলায় ময়নার রক্তাত মরদেহ দেখতে পায়।
পরে মসজিদের ইমাম ময়নার মাকে খবর দেন। গ্রামবাসীরা গিয়ে ময়নার বিবস্ত্র ও গলায় কাপড় পেছানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ, পিবিআই ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তপন সরকার বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে।
তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এএইচ