ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ৩০ ১৪৩২

ইরানের সংসদে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫ সোমবার

ইরানের সংসদে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি বাড়ানোর জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব বিপুল ভোটে অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, যদি কেউ শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠীর জন্য কোনো গোয়েন্দা ও গুপ্তচরবৃত্তির কার্যকলাপ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে এই শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠী চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ এবং মিনিস্ট্রি অব ইন্টেলিজেন্সকে শত্রুদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে প্রস্তাবের মূল বক্তব্যে।

সুপ্রিম জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল (যারা ইতোমধ্যেই শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত) বাদে অন্যান্য শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠীগুলোকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে।

এর আগে যে প্রস্তাবটি ছিল তাতে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি এবং সংসদে ফেরত পাঠানোর জন্য এই অস্পষ্টতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

সংশোধিত মূল প্রস্তাবের আরেকটি অনুচ্ছেদে জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শত্রু বা বিদেশি নেটওয়ার্কগুলোতে যারা তথ্য বা ভিডিও পাঠায় তাদের শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এই কর্মকাণ্ডগুলো এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। একইসাথে এর জন্য কারাদণ্ড এবং সরকারি ও জনসেবা থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

চূড়ান্ত প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোন সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আর সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যাবে।

এই প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে পাস করা হয়েছিল যখন ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত অসংখ্য প্রতিবেদনে ইরানি ভূখণ্ডের ভেতরে ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্যের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করা হয়েছিল।

বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পর ইরানের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সমালোচনা করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এএইচ