ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১ ১৪৩২

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যায় পাথর নিক্ষেপকারী সেই যুবক গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৫ বুধবার

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে পাথর নিক্ষেপকারী হিসেবে চিহ্নিত সাদা শার্ট পরা সেই যুবককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পটুয়াখালীর সদর উপ‌জেলার ইটবা‌ড়িয়া এলাকা থে‌কে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃত আসামির নাম-পরিচয় এখনও জানায়নি পুলিশ।

গ্রেফতারের বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ পটুয়াখালীর অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ডি‌বি পু‌লিশের এক‌টি দল সোহাগ হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই মুহূর্তে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডি‌বি পু‌লি‌শের একটি সূত্র জানায়, ইটবা‌ড়িয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামি সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর‌নিক্ষেপ করেছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে মো. নান্নু নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। নান্নু এ হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি। 

এ ঘটনার পরপরই পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

শুক্রবার গভীররাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া রোববার ভোরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌর শহর থেকে সজিব ও রাজিব নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।

সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। 
 
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।

এএইচ