ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ২ ১৪৩২

ফ্যাসিস্ট লীগের প্রশ্নে আর কোনো ছাড় নয় : নুরুল হক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৫ বুধবার

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট লীগের প্রশ্নে আর কোনো ছাড় নয়। বিপ্লব ও বিপ্লবীদের সুরক্ষায় ফ্যাসিস্টদের নির্মূল করতেই হবে।’ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে আসার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তিনি এ কথা বলেছেন। 

বুধবার (১৬ জুলাই) ফেসবুক স্ট্যাটাসে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘সারা দেশের লীগের দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে আস্তানা গেড়েছে।

এনসিপির সমাবেশ ও যাত্রাপথে আজকের হামলা প্রমাণ করে ১১ মাসেও এদের মধ্যে ন্যূনতম কোনো অনুশোচনা বোধ তৈরি হয়নি। বরং এরা প্রতিশোধপরায়ণ হিংস্র জন্তুতে পরিণত হয়েছে। তাই কথা পরিষ্কার, ফ্যাসিস্ট লীগের প্রশ্নে আর কোনো ছাড় নয়। বিপ্লব ও বিপ্লবীদের সুরক্ষায় ফ্যাসিস্টদের নির্মূল করতেই হবে।’

তিনি আরো বলেছেন, “প্রশাসন যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জকে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী লীগ মুক্ত করার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমরা গোপালগঞ্জকে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্ত করতে ‘ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ মার্চ’ করব। গোপালগঞ্জবাসীর প্রতিও আমাদের আহ্বান—ফ্যাসিবাদ নির্মূলে আপনারাও আওয়াজ তুলুন, পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে থাকবে।”

এসএস//

রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী 

গোপালগ‌ঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এন‌সি‌পির) সমা‌বে‌শে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর অভিযানে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনী। 

এর আগে দুপুরে গোপালগ‌ঞ্জে ১৪৪ জারি ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। 

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেন।

এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে শহরের সমাবেশস্থলে তারা হঠাৎ করে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চে চড়াও হয়। এ সময় সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও মারধর করে তারা। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে শহরের সমাবেশস্থলে তারা হঠাৎ করে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চে চড়াও হয়। এ সময় সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও মারধর করে তারা। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার কারণে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। তারা জানান, আমাদের গাড়িবহরের একটি অংশ মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। তাদের ওপর হামলার আশঙ্কা করছি। গাড়িবহরের অন্য একটি অংশ ছাত্রলীগের হামলার কারণে যেতে পারেনি। তাই পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে বাবার বুলেট ও সাউন্ড ছুঁড়তে দেখা গেছে হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচি হিসেবে আয়োজিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপি সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান।

এসএস//