ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৫ ১৪৩২

জামায়াত একটা ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি : গোবিন্দ প্রামাণিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৪ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় রাজনৈতিক দল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বঞ্চনা করেছে ও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। 

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু একটা রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

গোবিন্দ চন্দ্র আওয়ামী লীগের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছিলাম। ১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে সেদিনই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে। প্রতিনিধিত্বকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তারা প্রতারণা করেছে।’

বিএনপির প্রতিও অভিযোগের শেষ ছিল না গোবিন্দ চন্দ্রের। দলটির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমরা আরেকটি বৃহৎ দল দেখেছি। যারা দীর্ঘদিন এই দেশে শাসন করেছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, উপেক্ষা করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ফেনীর একটি উপজেলায় ২০০ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন আদিবাসী কিশোরীকে চারজন বিএনপি কর্মীর দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদের কোনো বিচার হয়নি।’

এ সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, যেমন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজির জন্যও উদ্বেগ প্রকাশ করেন গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

জামায়াতের প্রশংসায় হিন্দু মহাজোটের এই নেতা বলেন, ‘আজকে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ, আপনারা এখানে এসেছেন জামায়াতে ইসলামীর ডাকে। জামায়াতে ইসলামী শুধু একটা রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি। আপনারা এখানে আসেন, শিক্ষা লাভ করেন। নীতিশিক্ষা দেন, আদর্শ শিক্ষা নেন এবং কীভাবে ধর্ম অনুযায়ী দেশ ও নিজের জীবন পরিচালনা করা যায় আপনারা সেই শিক্ষা লাভ করেন।’

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গোবিন্দ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা বলতে চাই একবার ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে। আবার কোনোদিন আমরা এই ফ্যাসিবাদ চাই না। এখানে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা আছেন। যদি এই দেশে পিআর সিস্টেম ছাড়া নির্বাচন হয় তাহলে আবার ফ্যাসিবাদ আসবে। আবার আপনাদের এই ফ্যাসিবাদ সরানোর জন্য জীবন দিতে হবে। রক্ত দিতে হবে।’

এসএস//