ঢাকা, শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২

আলঝেইমার শনাক্তে ডিপ লার্নিং গবেষণায় বিশ্বে প্রশংসিত সিয়াম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৪ পিএম, ২১ জুলাই ২০২৫ সোমবার

বাংলাদেশের তরুণ গবেষক সিয়াম বিন শওকত তাঁর সৃজনশীল মেধা, বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা ও বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গবেষণা পরিমণ্ডলে নিজের জন্য শক্ত একটি অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি খাতে তাঁর গবেষণা এখন শুধু একাডেমিক অঙ্গনেই নয়, বাস্তব জীবনেও প্রভাব ফেলছে।

সিয়াম তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB) থেকে। এখানেই তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। একাডেমিক ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অর্জন করেন “Cum Laude” সম্মাননা—যা শুধু মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরকেই দেওয়া হয়ে থাকে।

গবেষণার প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয় সমস্যা বিশ্লেষণ করে তার কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার আকাঙ্ক্ষা থেকে। তাঁর ভাষায়, “আমি সব সময় এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে চাই, যার বাস্তব জীবনে সরাসরি প্রভাব আছে। যা মানুষের জীবনকে সহজ ও নিরাপদ করতে পারে।” এই মনোভাবই তাঁকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিপ লার্নিং এবং মেডিকেল ইমেজ প্রসেসিংয়ের মতো জটিল অথচ প্রয়োজনীয় গবেষণার পথে নিয়ে আসে।

সিয়ামের সবচেয়ে আলোচিত গবেষণাগুলোর একটি হলো—মস্তিষ্কের এমআরআই ছবি বিশ্লেষণ করে আলঝেইমার রোগ শনাক্তে ডিপ লার্নিং মডেল ব্যবহার। এই গবেষণা বর্তমানে আন্তর্জাতিক জার্নাল ও সম্মেলনগুলোতে প্রশংসিত হচ্ছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে এমন উদ্ভাবন ভবিষ্যতে রোগ নির্ণয়কে আরও নির্ভুল ও সময়োপযোগী করে তুলতে পারে বলে ধারণা গবেষক মহলের।

তিনি শুধু একজন উদ্ভাবক বা গবেষক নন—একই সঙ্গে একজন আন্তর্জাতিক মানের রিভিউয়ারও। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একাধিক জার্নালের আমন্ত্রণে তিনি পিয়ার রিভিউয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই প্রজন্মের গবেষকদের জন্য সিয়াম বিন শওকত এক উজ্জ্বল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত—যিনি নিজের মেধা, নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনী চেতনার মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর মত তরুণ গবেষকের হাত ধরেই এগিয়ে যেতে পারে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ভবিষ্যৎ।