ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১১ ১৪৩২

শিক্ষার্থী জারিফের পর না ফেরার দেশে অফিস সহায়ক মাসুমাও 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫ শনিবার

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাসুমা (৩৬) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি মাইলস্টোনের অফিস সহায়ক ছিলেন।

শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুমা। আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাসুমার স্বামী গাড়িচালক মো. সেলিম জানান, মাইলস্টোন স্কুলের কর্মচারী ছিলেন তার স্ত্রী। তাদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নিয়ে তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন।

এর আগে সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ (১৩)। বিমান দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।   

এর আগে গত শুক্রবার (২৫) সকাল সাড়ে ৯টায় এবং দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইমান (১০) ও মাকিন (১৩) নামে দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ আর মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে বিমান দুর্গটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জনের মৃত্যু হলো।

সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে মোট ভর্তির রয়েছেন ৩৮ জন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন আইসিউতে রয়েছেন তিনজন। সিবিয়ার পর্যায়ের রোগী রয়েছেন ১০ জন।

আইএসপিআর জানায়, গেলো সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনের ওপর গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আইএসপিআর আরও জানায়, নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগর যুদ্ধবিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু। এছাড়া ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, দুই শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও দুই অভিভাবকও রয়েছেন।

এমবি//