ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১১ ১৪৩২

নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি নাহিদের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫ শনিবার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশ পরিচালনায় নতুন বন্দোবস্ত লাগবে। একটি বিশেষ মহল পুরোনো সিস্টেমে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা চাই, নতুন বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা। পুরোনো সিস্টেমে বাংলাদেশ চলতে পারে না। নতুন সংবিধানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৪৭, ৫২, ৭১ সর্বোপরি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় দেশ চলবে। ৭২-এর সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও আকাঙ্খা বাদ দিয়ে মুজিববাদী সংবিধানে পরিণত করা হয়। ৫৪ বছর আমরা এ বৃত্তের মাঝে ছিলাম। এ সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরীরপার পয়েন্টে ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আসামে দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানবিরোধী আন্দোলন চলছে। হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার আসামে মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে। এনসিপি বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রীতির রাজনীতি চালু করতে বদ্ধ পরিকর। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই। এনসিপি উন্নয়নের মূলা ঝুলানোর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। মৌলিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। যারা ধর্মীয় ভাবাবেগের বিরুদ্ধে কথা বলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তাদের চিনতে সময় লাগেনি।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের পুলিশ হত্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি, আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে। তখন দমন-পীড়ন করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়েছে।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিট ছিল কর্মসংস্থানের দাবি পূরণ করা। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও এ দাবি উপেক্ষিত হয়েছে।

দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, এনসিপির লক্ষ্য ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন। আর্মিসহ রাষ্ট্রের কোনো দপ্তরকে জনগণের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে রাখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, ঘুষ দিয়ে সেবা পেতে হবে; এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না।

পথসভার আগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে জুলাই পদযাত্রা শুরু হয়। এতে যোগ দেন এনসিপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফায়াদ আলম। মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সাদিয়া ফারজানা, সিলেট বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব ডা. জাহেদ, সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন, এনসিপি জেলা কমিটির এহসান জাকারিয়া, সানাউল ইসলাম সুয়েজ, সৈয়দ মুফলে উস সালেকীনসহ অনেকে।

এরপর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল মাঠে চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। একইসঙ্গে এনসিপির নেতাদের সেখানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এসএস//