নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সৈকতের ১০ পয়েন্টে ভাঙন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫ রবিবার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি ঢুকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত দুদিনে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দশটি পয়েন্টে ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট কলাতলীসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পটে ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভেংগে গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অস্থায়ী স্হাপনা। ঢেউয়ের তোড়ে উপড়ে গেছে সৈকতের দৃষ্টিনন্দন প্রচুর ঝাউগাছ।
এ ছাড়া জোয়ারের আঘাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের ৪টি স্পটে আবারও ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ অংশ এবং উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকায় এই ভাংগনের সৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাব এবং আমাবস্যার কারণে সাগরের জোয়ারের পানি ২-৩ থেকে তিন ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আনিসের ডেইল, তাবলর চর ও কাহার পাড়া, সাইট পাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের অর্ধশত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর জলাশয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
জোয়ারের পানি ঢুকেছে টেকনাফের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের লোকালয়ে। সেন্টমার্টিন্সের উত্তর পাড়া ও পশ্চিম প্রান্তে জোয়ারের পানির তোড়ে পর্যটন রিসোর্ট হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের গোসলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং হাঁটু পানির নীচে নামতে নিষেধ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা।
এএইচ