ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ১ ১৪৩২

থাইল্যান্ডের মার্কেটে এলোপাতারি গুলি, নিহত ৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৫ সোমবার

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এক বন্দুকধারীর এলোপাতারি গুলিবর্ষণে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তা। ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন বলে ব্যাংকক পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) জনপ্রিয় ‘অর তো কো’ বাজারে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি পর্যটকদের কাছে পরিচিত চাতুচাক মার্কেটের খুব কাছেই।

ব্যাংককের ব্যাং সু জেলার উপপুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই বলেন, ‘পুলিশ হামলার উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত এটিকে গণহত্যা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, হামলাকারী গুলির পর নিজেই নিজেকে গুলি করেন। এতে তারও মৃত্যু হয়য়। তার পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার চলমান সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ব্যাংককের মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যুরোর উপকমিশনার চারিন গোপাত্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে চারজন বাজারের নিরাপত্তারক্ষী এবং একজন নারী।

স্থানীয় হাসপাতাল তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা ইরাওয়ান ইমার্জেন্সি মেডিকেল সেন্টার জানায়, হামলাকারী নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। 

ব্যাংককের 'ওর তোর কর মার্কেট' তাজা ফল এবং সি-ফুডের জন্য পরিচিত। থাইল্যান্ডের এই অঞ্চলে অস্ত্রের মালিকানার হার তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে গোলাগুলির ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

২০২৩ সালে, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্রে একটি বিলাসবহুল শপিং মলে এলোপাতারি গুলি চালায়। এতে দুজন নিহত এবং পাঁচ জন আহত হন।

২০২২ সালের অক্টোবরে উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের নং বুয়া লাম্ফু প্রদেশের একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে বন্দুক ও ছুরির হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিশু।

হামলাকারী দেশটির এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানা গিয়েছে।

২০২০ সালে, নাখন রাতচাসিমা শহরে একজন সৈনিকের হামলায় ২৯ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

এএইচ