পুলিশের এপিসি থেকে ফেলে ইয়ামিনকে হত্যা, এএসআই গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৪ আগস্ট ২০২৫ সোমবার

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের এপিসি থেকে ফেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার তাকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত এএসআই মোহাম্মদ আলী কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার কালাইহাতি গ্রামের মৃত মুনসুর আলী ও নাজমা আক্তারের ছেলে।
শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় সাভার থানা পুলিশ অভিযান চালায়। তাদেরকে সহযোগিতা করে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
পুলিশ জানায়, সাভার মডেল থানার মামলায় এবং আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইসিটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি এএসআই মোহাম্মদ আলী (৩১) দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মুরাপাড়া এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান ইয়ামিন। তখন ইয়ামিনকে পুলিশের এপিসি থেকে নির্মমভাবে ফেলে দেওয়ার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নানা ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়েছিল।
এএইচ