ঢাকা, বুধবার   ১৩ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৯ ১৪৩২

শিক্ষাজীবনে বড় ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি করে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৩ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের শুকপাটুলী গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। গ্রামটির একমাত্র প্রধান রাস্তা বর্ষাকালে হাঁটু-সমান কাদা ও জলাবদ্ধতায় চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই রাস্তাটি দিয়েই গ্রামের মানুষ ও  শত শত শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন মাদ্রাসা ও বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বর্ষায় শিক্ষার্থীদের জুতা হাতে নিয়ে, কাদা-মাটি ভেঙে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়—যা তাদের শিক্ষাজীবনে বড় ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি করে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমেছেন। গ্রামবাসী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে 

এছাড়া, রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পোলট্রি মুরগি ও মাছ বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারী ও যানবাহন চালকদের। বিগত বিভিন্ন সময়ে নানা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, নির্বাচন শেষে আর কেউ গ্রামটির খোঁজ নেয়নি। বছরের পর  বছর ধরে উন্নয়নবঞ্চিত থেকে গেছে শুকপাটুলী গ্রাম।

অবশেষে এলাকার সচেতন যুবসমাজ, প্রবাসী, চাকরিজীবি এবং সাধারণ গ্ৰামবাসীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনুদান সংগ্রহ করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ জোগাড় হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে গ্রামবাসীর ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে রাস্তার ইটের সলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী মাস্টার জানান, এলাকার যুবসমাজ, প্রবাসী ও সাধারণ গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে এই কাজের সূচনা করা হয়েছে। শুধু রাস্তা তৈরি নয়, ভবিষ্যতে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বও তারা নিজেরাই পালন করবেন।

কাজের অগ্রগতি দেখে আশেপাশের গ্রামগুলোও অনুপ্রাণিত হচ্ছে। শুকপাটুলী  এই ঐক্য, স্বনির্ভরতা ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত এখন পুরো এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গ্রামবাসীর ভাষ্যে— “যদি আমরা চাই, আমরা পারি। সরকারি সহায়তা না থাকলেও ঐক্য ও সদিচ্ছা থাকলে উন্নয়ন নিজেরাই করতে পারি।”