1. প্রচ্ছদ
2. রাজধানী

রাজধানীর গুলশানে সাবেক একজন এমপির বাসায় চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ওই মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস)র বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বুধবার রাতে করাপশন ইন মিডিয়ার এডিটর ইন চিফ জাওয়াদ নির্ঝর ভিডিওটি পোস্ট করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন জানে আলম অপু। ৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন তিনি।

ভিডিওতে জানে আলম অপু বলেন, গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নিতে যে ছেলেকে দেখেছেন, সেটা তিনি। ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে সমন্বয়করা চাঁদাবাজিতে জড়িত। যে সমন্বয়ক গত বছর ছিল মহানায়ক তারা চাঁদাবাজ হয়ে গেল, বলেন অপু।

তার কিছু প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন, ওইদিন ভোর ৫টার সময় ওই জোনের ডিসি-এসিকে অবগত করে একদম অফিসিয়াল প্রসেসে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সাবেক এমপি শাম্মির বাসায় অভিযান চালান তারা। আপনারা কি জানেন, সেই অভিযানে যাওয়ার আগে গুলশানের কোনো একটি জায়গায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়।

তবে, এবিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপু আরও বলেন, মিডিয়ায় সেই বিষয়টি নেই কেন? আগের রাতে অভিযানের বিষয়টি মিডিয়ায় ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন? ভোরবেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেই অভিযানের তথ্য নেই কেন। অভিযানের সময় তারা বুঝতে পারেন শাম্মি সেখানে ছিলেন। কিন্তু তথ্য পেয়ে তিনি পালিয়েছেন। 
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, যে আড়াই মিনিটের ভিডিও ভাইরাল করে তাদের রাতারাতি ভিলেন বানানো হলো- সৎ সাহস থাকলে আগের রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেন। দেখি কে ফোন করছেন, কার ফোনে শাম্মি ওই বাসা থেকে বের হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তারা যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিযানে গেলেন, সেখানে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেগুলো প্রকাশ করতে বলেন জানে আলম অপু।

এর আগে, গত ১ আগস্ট জানে আলম অপুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন অপুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের বাসা থেকে চাঁদার ৩ লাখ সাত হাজার টাকায় কেনা ইয়ামাহা এফজেড-এক্স ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে, ভাইরাল এই ভিডিওটি জোরপূর্বক অপুকে দিয়ে বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অপুর স্ত্রী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন বৃষ্টি।

তিনি বলেন, ‘৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে এ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অপু মিসিং ছিলেন। মিসিং ছিল বলতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাইকে করে অপুকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল (বুধবার) অপুর স্বীকারোক্তির ৩৫ মিনিটের যে ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, ওই স্থানে অল্প অল্প করে শিখিয়ে অপুকে দিয়ে সেই ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অপু চাঁদাবাজি করেনি, অপুকে দিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করায়ওনি। অপু কারো পরিকল্পনায় ফেঁসে গেছে। অপুকে ব্যবহার করে একটা দল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে কাউকে দাবানোর জন্য।’

এএইচ