ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ৩০ ১৪৩২

হাসিনার আমলের নজরদারি যন্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৫৮ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় ব্যাপকভাবে নজরদারি চালাতে কেনা বিভিন্ন যন্ত্র ও এর ব্যবহার নিয়ে তদন্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “কত টাকার নজরদারি যন্ত্র কেনা হয়েছে? কোথা থেকে কেনা হয়েছে? এবং যন্ত্রগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।” কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে।

তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ দেন প্রেস সচিব।

টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ও দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকের বরাতে প্রেস সচিব বলেন, কেউ বলছেন ৩০০ মিলিয়ন ডলার, কেউ বলছেন ২০০ মিলিয়ন ডলারের নজরদারি যন্ত্র কেনা হয়েছিল। এসব যন্ত্রের কিছুই ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘গত ‘স্বৈরাচার’ সরকার নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করতে এই যন্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে।’

এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি দেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পুলিশ, র‍্যাব ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) যৌথভাবে এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয় করেছে।

এছাড়া এনটিএমসি তৈরি করেছিল ইন্টিগ্রেটেড ল’ফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস), যা দেশের নাগরিকদের ইন্টারনেট ও টেলিকমিউনিকেশন ট্রাফিকের বিশাল তথ্য নজরদারি, বিশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে তাৎক্ষণিক বা রিয়েল-টাইম কেন্দ্রীয় নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

প্রেস সচিব বলেন, “পুলিশের জন্য যে নজরদারি যন্ত্র কেনা হয়েছিল, তা কিভাবে কেনা হয়েছে এবং কোন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।” বৈঠকে সরকারি কেনাকাটা আইনে (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট) নতুন পরিবর্তন আনার প্রস্তাবও উত্থাপিত হয়।

এসএস//