আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৫ শনিবার

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তাল পাতিলা নামক স্থানে আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ওই এলাকায় প্রায় ১০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।
এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশ’ পরিবার।
বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন ধানের পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছরও ভেঙ্গে যায় বাঁধ। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু আবারও ভেঙে গেছে বাঁধ।
বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।
এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদী ও ছোট যমুনা নদীর তীরবতি মান্দা,আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আত্রাই ও রানীনগর উপজেলা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও মান্দা উপজেলায় বেরিবাধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও আত্রাই রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
এসব ঝুকিপূর্ণ এলাকা উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছেন। ইতিমধ্যে আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধের বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং নদ নদীর পানিও বৃদ্ধি কমে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এএইচ