পেনশন ও সঞ্চয় নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিল সৌদি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার

প্রথমবারের মতো প্রবাসী কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ আর্টিকেল আইভি কনসালটেশন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গেজেট।
মূলত, বিভিন্ন খাতের কর্মীদের গৃহস্থলী সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা করেছে সৌদি সরকার। নতুন এ কর্মসূচি বিদেশে কর্মীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য এ পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি উন্মোচন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাবলিক পেনশন অ্যান্ড সেভিংস প্রোগ্রাম’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় বিদেশি কর্মীরাও সৌদি নাগরিকদের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত হবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য খুলছে নতুন সম্ভাবনার পথ। এবার তারা তাদের আয়ের একটি অংশ সরাসরি সৌদিতেই সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। সেই পথই খুলে দিচ্ছে ‘পাবলিক পেনশন অ্যান্ড সেভিংস প্রোগ্রাম’।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকেই সৌদি আরবের সামাজিক বীমা ব্যবস্থায় নিবন্ধিত কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ, যার মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশই বিদেশি প্রবাসী শ্রমিক।
নতুন এই কর্মসূচিকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন সৌদি আরবের অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এটি যেমন প্রবাসীদের ব্যক্তিগত সঞ্চয় বাড়াবে, তেমনি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাও হবে আরও স্থিতিশীল।
একই সঙ্গে আইএমএফ বলছে, এই উদ্যোগের ফলে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় বাড়বে এবং দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা কিছুটা কমবে।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তাদের মতে, এই কর্মসূচি একদিকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে নিজ দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিদেশি শ্রমিকরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৪৪.২ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। গত এক দশকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ পৌঁছেছে প্রায় ১.৪৩ ট্রিলিয়ন রিয়ালে।
এএইচ