ক্ষমতায় ফিরতে পারেন, তাই কারাগারে বিক্রমাসিংহ- অভিযোগ বিরোধীদের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার

আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন এমন আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে বামপন্থি সরকার কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো।
শনিবার (২৩ আগহস্ট) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে কলম্বোর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনুরা কুমারা দিসানায়েকের কাছে হেরে যান বিক্রমাসিংহে। ক্ষমতায় এসেই দিসানায়েক দুর্নীতি দমনের অভিযান জোরদার করেন। ২০২২ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে থাকা দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ইতোমধ্যে সাবেক দুই মন্ত্রীকে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আর সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে যান। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিউবার জি-৭৭ সম্মেলন ও জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ফেরার পথে তিনি লন্ডনে অবস্থান করে স্ত্রীর সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পুলিশের দাবি, এ সফরে ১ কোটি ৬৬ লাখ রুপি (৫৫ হাজার ডলার) সরকারি অর্থ খরচ হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং তিনগুণ অর্থদণ্ড হতে পারে। যদিও বিক্রমাসিংহের দাবি, স্ত্রীর ব্যয় তিনি নিজেই বহন করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্টকে কলম্বোর নিউ ম্যাগাজিন কারাগারে দেখতে গিয়ে প্রধান বিরোধী দল এসজেবির এমপি নালিন বান্দারা জানান, বিক্রমাসিংহে নতুন সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)—যাদের এখন সংসদে মাত্র দুটি আসন—অভিযোগ করেছে, সরকার আসলে রনিলের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনাকেই ভয় পাচ্ছে।
বিক্রমাসিংহে ২০২২ সালে জনবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করা গোটাবায়া রাজাপাকসের পর প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিশ্চিত করে দেশকে সংকট থেকে টেনে তুলেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারের অন্ধকারে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস//