জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, ফজলুকে শোকজ বিএনপির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৫ রবিবার

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে যথাযথ কারণ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান গত বছর ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেই দায়ী করেছেন। তার ভাষায়- এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘কালো শক্তি’ জামায়াত।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলন পরিচালনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তিনি দাবি করেন, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘যারা ৫ আগস্ট ঘটাইছে, কালো শক্তি, সেই কালো শক্তির নাম হলো জামায়াতে ইসলাম, তাদের যে অগ্রগামী শক্তি তার নাম হইলো ইসলামি ছাত্রশিবির। সারজিস আলমরা, যারা ওই এইটার (অভ্যুত্থানের) অভিনয় করছে, ৫ আগস্টের অভিনেতা যারা, আমি তাদেরকে নেতা বলতে আর চাই না, তাদের আমি অভিনেতা বলব। সেই আলবদর, আল শামস, জামায়াতে ইসলাম আমরা মনে করেছিলাম ৫৪ বছর পর পূর্বপুরুষের পরাজয়ের গ্লানি তারা ভুলে গেছে। কিন্তু না, সেই পরাজয়ের গ্লানি দ্বিগুণ আকারে তাদের মধ্যে এসেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, জামায়াত ‘চক্রান্ত করে’ দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং তাদের পেছনে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও’ আছে। তিনি বলেন, ‘তারা চক্রান্ত করে নিজেদের এই দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, সেই প্রতিষ্ঠার পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। সে ষড়যন্ত্রের বহিপ্রকাশে তারা এমন একটা শক্তি হয়ে দাঁড়াইছে যে, তাদের এখন অর্থ-বিত্ত সবকিছু আছে।’
তিনি মনে করেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতাতেও এখন জামায়াতই আছে। তবে দলটি এটাও জানে তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জামায়াতের প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘তারা টাকা পয়সার মাধ্যমে তরুণ সমাজের যে কোনো একটা অংশকে কনভিন্স করে একটা শক্তি নিয়া সামনে আসছে। এবং সারা বাংলাদেশের এসিল্যান্ড, ইউএনও, পুলিশ, যা আছে ওপরের সচিব পর্যন্ত, বাংলাদেশের সব প্রশাসন তারা দখল করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, শেয়ার কোম্পানি, মার্কেট, হসপিটাল, বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানের ছাত্রসংগঠন সবকিছু তারা দখল করে তারা এখন মনে করছে আমরা তো এখন আনঅফিশিয়াল ক্ষমতায় আছি, অফিসিয়াল ক্ষমতায় আমরা জীবনেও যেতে পারব না। কারণ ভোটের গোণায় আমরা আগে ছিলাম ৭%, এখন গেলে আরও ১% কমবে, কারণ, মানুষ বুঝে ফেলেছে যে তারা হলো রাজাকারের বাচ্চা, এরা ৫৪ বছর পরেও তারা রাজাকারের কুকীর্তি ভুলে নাই, তারা প্রতিশোধ নিতে চায়।’
এসএস//