ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১১ ১৪৩২

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অপসারণের নির্দেশ ট্রাম্পের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কুকের বিরুদ্ধে বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য লিসা কুককে তৎক্ষণাৎ পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তার চলমান বিরোধে এটিকে বড় ধরনের উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প কুককে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাতে তিনি জানান, কুকের বিরুদ্ধে বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি তাকে অবিলম্বে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কুক কিংবা ফেডারেল রিজার্ভ কেউই এখনও মন্তব্য করেনি।

বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প বারবার ফেডের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন— বিশেষ করে এর প্রধান জেরোম পাওয়েলকে লক্ষ্য করে। তার অভিযোগ, সুদের হার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি তিনি একাধিকবার পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

তবে কুককে অপসারণের পদক্ষেপটি নজিরবিহীন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১১১ বছরের ইতিহাসে ফেড বোর্ডের কোনো সদস্যকে এভাবে পদচ্যুত করা হয়নি। তিনি ছিলেন সাত সদস্যের মধ্যে একজন এবং এই পদে থাকা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। 

এই পদক্ষেপের বিষয়ে আইনি প্রশ্নও উঠতে পারে, কারণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হোয়াইট হাউসকে আদালতে প্রমাণ করতে হতে পারে যে, অপসারণের যথেষ্ট কারণ ছিল।

ট্রাম্পের চিঠিতে বলা হয়, কুক মিশিগানে একটি বাড়িকে নিজের প্রধান আবাস হিসেবে দেখিয়ে নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহ পর জর্জিয়ার আরেকটি সম্পত্তির জন্যও একই ঘোষণা দিয়ে নথি জমা দেন তিনি। 

ট্রাম্প লেখেন, “প্রথম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর দ্বিতীয় নথি স্বাক্ষরের সময় আপনি তা জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

গত সপ্তাহেই ট্রাম্প তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এ অভিযোগ প্রথমে তোলেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং হাউজিং ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রক বিল পুলটে। তিনি এটিকে ‘অপরাধমূলক রেফারেল’ আখ্যা দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডিকে চিঠি পাঠান এবং ন্যায়বিচার বিভাগকে তদন্তের আহ্বান জানান। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এএইচ