হাসনাতকে হেয় করে রুমিন ফারহানার পোস্ট, রাজনীতিতে উত্তাপ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৩৭ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার

দেশের রাজনীতি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দখলে। বিশেষ করে ফেসবুকে পোস্ট আর কমেন্ট ঘিরে ঘটছে জুলাই বিপ্লব, তৈরি হচ্ছে রাজনৈতিক মহাকাব্য। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার একটি তীক্ষ্ণ পোস্ট ঘিরে ফের সরগরম দেশি রাজনীতি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তার এক বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হাসনাতের পুরনো ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ছবি ও কিছু সোনালি অতীতের স্মৃতি শেয়ার করে রুমিন লেখেন, “এটাই কি সেই ফকিন্নির সন্তান নয়, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছিল?”
এর আগে, গত রোববার এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ ও তার সমর্থকদের সঙ্গে রুমিন ফারহানার অনুসারীদের সংঘর্ষের পর হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন— “বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক হচ্ছেন রুমিন ফারহানা। হোন্ডা-গুন্ডা নির্বাচন আমরা ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগের মতো রুমিন ফারহানাকেও ভারতে পাঠানো হবে।”
অপরদিকে, ইউটিউবার ও এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য রুমিন ফারহানার পোস্টের জবাবে নিজের ওয়ালেও ঝড় তোলেন। রুমিনকে ‘শেখ রুমিন’ আখ্যা দিয়ে পিনাকী লেখেন, “শেখ রুমিন ফারহানা জুলাই বিপ্লবের সিপাহসালার হাসনাতকে ‘ফকিন্নি’ বলেছে। সেই একই কথায় আবার কমেন্ট করেছে আলো আসবেই গ্রুপের বাকশালি সৈনিক শাওন। শাওনের কমেন্টে ভর করে হাসনাতকে ‘বান্দির পুত’ বলেছে আরেক বাকশালি জহিরুল ইসলাম মামুন (সেকুলার নাম জ ই মামুন)। বাহ, কী দিন আসল সব বাকশালির মুখের ভাষা এখন শেখ রুমিনের পোস্ট। বাংলাদেশে এখন কারা কোন দল করে আপনারাই মিলিয়ে নিন “
তিনি আরও লেখেন, “শেখ রুমিন, তুমি যে গর্তে থেকে ‘প্লট প্লট’ বলে চিৎকার করতা সেখান থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছে হাসনাতরা। তুমি এমন রাজনীতিবিদ যে বিএনপির আরেক গ্রুপের ভয়ে বি.বাড়িয়ায় প্রবেশ করতে পারো না৷ আর আজ বাকশালিদের সাথে সুর মিলিয়ে হাসনাতের দিকে চোখ রাঙাও। শেখ রুমিনের মতো রাজনীতিবিদ সাত বার জন্ম নিলেও একজন হাসনাত, আসিফ কিংবা সাদিক কায়েম হতে পারবে না। তোমার ভারতে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচন করাই ভালো হবে। এই বেয়াদবির ফল কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
তবে রুমিন ফারহানার এই পোস্টের পর হাসনাত আবদুল্লাহ পাল্টা কোনো মন্তব্য করেননি এখন পর্যন্ত। এর আগে নির্বাচন কমিশনে সংগঠিত হওয়া ইস্যু নিয়ে রুমিন ফারহানাসহ যেকোনো নারীর বিরুদ্ধে স্লাটশেমিংয়ের বিরোধিতা করি উল্লেখ করে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন হাসনাত।
যেখানে তিনি বলেন, ‘নারী রাজনীতিবিদ হোক বিএনপির, এনসিপির, বাম বা ডানের—তার শরীর, পোশাক বা ব্যক্তিজীবন নিয়ে অপমান করা রাজনৈতিক নয়, এটা সরাসরি পুরুষতান্ত্রিক ঘৃণা। দুঃখজনকভাবে, এমন আচরণ আসে অনেক সময় সেই মুখোশধারী প্রগতিশীলদের কাছ থেকেই, যারা নারীর অধিকারের কথা বলে, আবার ভিন্নমত পোষণ করলে নারীকে হেয় করে।’
তিনি আরও লেখন, ‘আমি নিজেও শ্রেণীঘৃণার শিকার হয়েছি। তবুও, রুমিন ফারহানাসহ যেকোনো নারীর প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট।’
এএইচ