শ্বশুরের বিচারক হওয়া নিয়ে সারজিসের ব্যাখ্যা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার

অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শ্বশুর লুৎফর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বাকি ২৪ জন বিচারকের সঙ্গে তিনিও শপথ নেন। লুৎফর রহমান এনসিপি নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর।
এর আগে সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে এই ২৫ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার।
ওই রাতেই সারজিসের শ্বশুর বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা শেয়ার করতে শুরু করেন অনেকেই। এ নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেন আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সেই পোস্টের নিচে কমেন্ট করেছেন সারজিস আলম।
সেখান শ্বশুরের অতিরিক্ত বিচারক হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এনসিপি নেতা।
সারজিস আলম লেখেন, ‘আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি এবং এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ’
সার্জিস জানান, ‘২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
সারজিসের দাবি, ‘তার শ্বশুরের শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্নআদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছায়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।’
আক্ষেপ করে সারজিস লেখেন, ‘এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।’
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ৯ জন আইনজীবী ও ৭ জন আইন কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমানও।
বিচারপতি লুৎফর রহমান এর আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এএইচ