ভারতে ভূমিধসে নিহত ৩০, উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৫ বুধবার

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টিপাতের পরে ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে আটকিয়ে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজে নেমেছে।
জম্মু অঞ্চলের কাটরায় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের কাছে ভূমিধস হয়। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার পরমভির সিংকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
মঙ্গলবার বৈষ্ণোদবীর মন্দিরের কাছে আধখোয়ারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের পাশে ওই ভূমিধস ঘটে বলে এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে ‘শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড’।
অন্যদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ডোডা জেলায় মেঘ-ভাঙ্গা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় তিন জন মারা গেছেন।
জম্মু এলাকায় গত চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় সব নদীতেই বিপদসংকেতের ওপর দিয়ে জল বইছে। রাস্তা ডুবে গেছে জলে।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, যোগাযোগের ব্যাপক সমস্যার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে তার প্রশাসনকে। জম্মু বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বা তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা সেখানে পৌঁছতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন মি. আবদুল্লাহ।
প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসের কারণে অনেক ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে, এর ফলে বহু তীর্থযাত্রী ওই অঞ্চলে আটকিয়ে পড়েছেন।
জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গেই সেনাবাহিনীও ওই অঞ্চলে আটকিয়ে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজে নেমেছে। বাড়তি উদ্ধারকর্মী নিয়ে দিল্লির নিকটবর্তী হিন্ডোন বিমানঘাঁটি থেকে সি-ওয়ানথার্টি এবং আইএল-সেভেন্টিসিক্স সামরিক বিমান রওয়ানা হয়েছে জম্মুর উদ্দেশ্যে।
জম্মু, উধমপুর, শ্রীনগর ও পাঠানকোটের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে আরও বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
এই ঘটনায় শোকবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা।
অন্যদিকে, আরেক পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশের তিনটি জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পরবর্তী দুদিনের জন্য লাল সংকেত জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর। ইতিমধ্যেই বিপাশা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে আর চণ্ডীগড়-মানালি মহাসড়কের একটি অংশ স্রোতে ভেসে গেছে।
গত জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে হিমাচল প্রদেশে বর্ষার মরসুমে ৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এএইচ