যশোরে ৮ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ তিন পাচারকারী আটক
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:১১ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার

যশোরের কোতোয়ালী থানার কোদালিয়া ও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৫ কেজি ৩৩৪ গ্রাম ওজনের ৩৬টি স্বর্ণের বারসহ তিন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোর ৬টায় ও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, আটককৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৮ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- মানিকগজ্ঞ জেলার সিংগাইর থানার আংগারিয়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম সাজিদ (২৩), যশোর কোতয়ালি থানার বারান্দি পাড়া লোন অফিস পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬) ও যশোরের ঝিকরগাছা থানার ফতেপুর গ্রামের আনন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন কুমার বাপ্পী (৩৪)।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানার কোদালিয়া ও তারগঞ্জ বাজার এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে ওই তিন স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে দেহ তল্লাশি করলে তাদের ম্যানিব্যাগে ও প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দার লুকায়িত অবস্থায় ৩৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৫ কেজি ৩৩৪ গ্রাম।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, ভারতীয় ৪০ রুপি ও নগদ ৩৫ হাজার ৩২০ টাকা জব্দ করা হয়।ে
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকার মানিকগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার চোরাকারবারীদের নিকট হতে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করে যশোর ও চুকনগর গমন করছিল। আটককৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৮ টাকা ও সিজার মূল্য ৭ কোটি ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৮ টাকা।
স্বর্ণসহ আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর এবং স্বর্ণ ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয়েছে।
সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র, স্বর্ণ, রূপা, মাদক, ডলার, রুপি, হুন্ডি ও চোরাচালানী মালামাল আটকের নিমিত্তে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হচ্ছে।
সীমান্তে বিজিবির এ ধরনের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময়ই অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এএইচ