ঢাকা, শনিবার   ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   ভাদ্র ২২ ১৪৩২

নুরা পাগলার মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের নিন্দা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৯ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গোয়ালন্দে নুরা পাগলা নামেও পরিচিত নুরুল হক মোল্লার কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সরকার একে অমানবিক, ঘৃণ্য ও সভ্য সমাজের মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ হিসেবে নিন্দা করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বর্বরতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রতিটি নাগরিকের জীবনের মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব—তা জীবদ্দশায় হোক কিংবা মৃত্যুর পর। এই মূল্যবোধের পরিপন্থী কর্মকাণ্ড দেশের আইন, সামাজিক নীতি ও মানবিক আদর্শের ওপর সরাসরি আঘাত।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশ্বস্ত করেছে যে, এই জঘন্য অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। দ্রুত তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সরকারের বার্তায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।’

বিবৃতিতে জনগণকে ঘৃণা ও সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শ সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্যও সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি পরামর্শ দিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি শান্ত রাখতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের কিছু সময় পর নুরাল পাগলের মরদেহ  ‘শরিয়ত পরিপন্থি’ পদ্ধতিতে দাফন করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়। 

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাওয়া পুলিশের দুটি পিকআপ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এএইচ