নুরা পাগলা দরবারের ঘটনায় পুলিশের মামলা, আসামি ৩৫০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ১২:২৭ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার দরবার-ভাঙচুরের সময় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেনl তিনি জানান, নুরা পাগলের দরবার শরীফ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নুরা পাগলের লাশ পুরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি l
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি’র গাড়ি ভাঙচুর করে। সেইসঙ্গে ৫ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুইজনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুঁড়ে আহত করে।
এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা করে নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভবন ও দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তৌহিদী জনতা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগালের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হন। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন অন্তত ২২ জন। সেখান থেকে ১৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদ।
তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে ৩ জন ফরিদপুর মেডিকেলে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গোটা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এএইচ