অবশেষে গোয়ালন্দ থানার ওসি বদল
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। তাকে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অপরাধ শাখায় পুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিপি)কে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৩ আগস্ট গোয়ালন্দের নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মৃত্যু হলে, তার পরিবার ও ভক্তরা দরবারের ভেতরে তাকে ১২ ফুট উচ্চতায় কবর দেওয়া হয় এবং কবরের ঘরটি কাবা শরীফের মতো রং দেওয়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজ আপত্তি জানাচ্ছিলেন এবং কয়েকদিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
পরে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারে হামলা চালায় এবং নুরাল পাগলের কবর ভেঙে তার মরদেহ উত্তোলন করে তা পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় দরবারে অগ্নিসংযোগ, হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় ভক্ত রাসেল মোল্লা নামে একজন নিহত হন।
গোয়ালন্দ থানা পুলিশের ওপরও হামলা হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪ হাজার জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমেও গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, “দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে বদলি করা হয়েছে। তিনি এক বছর ধরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এএইচ