ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১০ ১৪৩২

পিআর পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয় জেনেও একটি চক্র বিভেদ সৃষ্টি করছে: ডা. রফিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম বলেছেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। যারা করছে, তারাও জানেন এই পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তা সত্বেও একটি চক্র দেশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফার্মাসিস্ট আয়োজিত র‍্যালিপূর্বক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. রফিক বলেন, ইসরায়েলসহ যে দেশগুলোতে পিআর পদ্ধতি আছে, সেখানেও এটি বিতর্কিত। আপনি আপনার ভোট দিয়ে যে প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবেন, তার নিজ এলাকায় কাজ করার সুযোগ না থাকলে সেই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।  

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আমরা যারা জেলে ছিলাম তারাতো তখন পিআর পদ্ধতির কথা বলেননি। এ পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবী তোলে কতজন তখন জেলে ছিল? যেদিকে তাকিয়েছি সেদিকেই দেখেছি শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেই পরিসংখ্যান খুঁজে বের করলেই বোঝা যাবে জুলাইয়ে কার কত অবদান। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই এই অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গত ১৬ বছরে এত মানুষ শহীদ হলো, গুম হলো— সেই গণতন্ত্রকে বিপন্ন করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য কী, পেছনের শক্তি কারা— তা আমাদের ভাবতে হবে।

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে ফার্মাসিস্টদের অবদান উল্লেখ করে ডা. রফিক বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। এই অর্জনের অন্যতম দাবিদার দেশের ফার্মাসিস্টরা।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীদের নিজেদের পকেট থেকে খরচ হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার যেমন রোগীদের খরচ বাড়াচ্ছে, তেমনি চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনের বাইরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এক ভয়াবহ সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংকট সমাধানে এ-গ্রেডের ফার্মাসিস্টদের স্বাস্থ্যখাতে অন্তর্ভুক্ত করে একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করা জরুরি।

স্বাস্থ্যখাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতসহ সবখাতেই বিপ্লব ঘটবে। সেখানে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বিএমইউ-এর ডিরেক্টর ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সী, কবি-কলামিস্ট ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ডা. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  প্রফেসর ডা. সোহেল রানা, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এএইচ