উ. কোরিয়া-মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

একযোগে উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত দুই দেশের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্কের কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে দুই দেশের সরকারি কোম্পানি এবং ৫ জন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।চাকরির খবর
বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অস্ত্র বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন (কোমিড)— এই দুই কোম্পানির মধ্যে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড, সেটির পরিচালক অউং কো কো উ , দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কিয়াও থু মিয়ো মিন্ত ও তিন মিও অউং এবং কোমিডের উপপরিচালক কিম ইয়ং জু ও কর্মকর্তা ন্যাম চোল উং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মিয়ানমারের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ, অস্ত্রের ফরমায়েশ নেওয়া, চালান পাঠানো এবং অস্ত্র বিক্রয়ের অর্থ উত্তর কোরিয়ার সরকার ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করতেন কোমিডের দুই কর্মকর্তা।
উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে কয়েক বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জন হার্লে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উৎপাদন ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক অবৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য সরাসরি হুমকি।
ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানতে উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু দুই দেশের কোনো কর্মকর্তাই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।