ঢাকা, রবিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে চলমান সহিংসতার বর্তমান অবস্থা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রবিবার

গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সকল দলমতের সাথে আলোচনার পর খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে রাত ১২.৫০টায় ফেসবুকের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলায় পুনরায় অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল হতেই খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি উশৃংখল জনতা ইউপিডিএফ’র প্রত্যক্ষ উস্কানিতে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়।

সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সেনাবাহিনীর টহল দল গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ সরানোর সময় ৫০ থেকে ৬০ জন পাহাড়ি সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পরে আনুমানিক ২০০ থেকে ৩০০ পাহাড়ি সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। 

এ সময় সেনাবাহিনীর গুইমারা জনের টুআইসিসহ ১২ জন সেনা সদস্য আহত হন। 

এর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী প্রথমে মাইকের মাধ্যমে উশৃংখল পাহাড়ি সমাবেশকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। উশৃংখল জনতা সরে না যাওয়ায় তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে। উৎশৃংখল জনতা এ সময়ে আরও মারমুখী হয় যার ফলশ্রুতিতে সেনা টহল কর্তৃক ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে উশৃংখল পাহাড়ি জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করে। 

এ পর্যায়ে বাঙালি ও পাহাড়ি উভয়ের মধ্যেই সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায় এবং গুইমারার রামসু বাজারে এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

আনুমানিক সোয়া ১টায়  ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসী কর্তৃক পাহাড়ের উঁচু অবস্থান থেকে সংঘর্ষরত জনতার উপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের মাধ্যমে গোলবর্ষণ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দুইজন পাহাড়ি নিহত হওয়ার খবর প্রাথমিকভাবে জানা যায়। উল্লেখ্য, পাহাড়িরা এই নিহতের ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।

বর্তমানে পাহাড়ি এবং বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি গুইমারা এলাকায় অত্যন্ত স্বল্প। বাঙালিদের আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়িতে পাহাড়িরা আগুন  লাগিয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনী এমতাবস্থায় তাদের জনবল বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া রামগড় এলাকায় সকাল দশটার দিকে বিজিবি দহল দল সড়ক অবরোধ সরানোর সময় উশৃংখল পাহাড়ি জনতার সাথে সংঘর্ষ হয়। উশৃংখল পাহাড়ীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে বিজিবির একজন অফিসারসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।

এএইচ