যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় গুলিবর্ষণ ও আগুন, হামলাকারীসহ নিহত ৫
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫০ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক টাউনশিপে এক গির্জায় ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে চার জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীও।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস’-এ বড় ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় এ হামলা ঘটে।
বেপরোয়াভাবে গুলি চালানোর পর গির্জা ভবনে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারী। এতে ভবনটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য রোববার বিশেষ পবিত্র দিন। ধর্মবিশ্বাসী খ্রিস্টানরা এদিন চার্চে প্রার্থনায় অংশ নেয়। এই সামষ্টিক বা গণ-প্রার্থনাকে বলা হয় ‘মাস’। অন্যান্য রোববারের মতো গতকালও ওই গির্জায় ‘মাস’ এর প্রস্তুতি চলছিল, শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন সে সময়। আকস্মিক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে চার্চের ভেতর ঢুকে পড়ে হত্যাকারী এবং অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারী প্রথমে একটি গাড়ি চালিয়ে গির্জার সামনের অংশ ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এরপর তিনি উপস্থিত ধর্মপ্রাণদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করেন এবং পরে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘন ধোঁয়ায় গোটা এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
পরি পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হন হামলাকারী।
হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০), জন্ম ও বেড়ে ওঠা মিশিগানের বার্টন শহরে। মার্কিন সেনাবাহিনীর মেরিন শাখার সদস্য হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইরাকে ছিল স্যানফোর্ড।
হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৪ জন এবং আহত হন আরও ৮ জন। পুলিশ অবশ্য প্রাথমিক অবস্থায় ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। পরে চার্চের অভ্যন্তরে আরও দু’জনের মরদেহের সন্ধান মেলে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্র্যান্ড ব্ল্যাংক শহরের পুলিশপ্রধান উইলিয়াম রেনি জানিয়েছেন, হামলা ঘটার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ওই গির্জার চত্বরে ছুটে যান দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তাদের গুলিতে চার্চের পার্কিং লটের কাছে নিহত হয় স্যানফোর্ড।
ঠিক কী কারণে স্যানফোর্ড এই হামলা করল, তা এখনও জানা যায়নি। হত্যার মোটিভ জানতে তার বাসস্থান ও ফোন রেকর্ড দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেনি।
মার্কিন রাজনীতিবিদরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। দেশকে হতবাক করে দেওয়া সশস্ত্র সহিংসতার একাধিক হাই-প্রোফাইল ঘটনার মধ্যে এটি সর্বশেষ ঘটনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে "ভয়াবহ" বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন গভর্নর এবং রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মিট রমনি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরমন, আহতদের আরোগ্য ও সান্ত্বনার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এএইচ