দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন,দেরিতে হলেও আমারা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি আমরা সফল হবো। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে টাইফয়েডে শিশু মারা যাওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। ডায়রিয়া ও রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। অথচ টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, তাদের অঙ্গহানি হয়।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে।
প্রচার প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, আমার ঘরে আমি এটির কোনো লক্ষ্মণ পাইনি।নাতি-নাতনি আছে,কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বলল না টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক বা না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচার প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবো। ইপিআই এর সাফল্য আছে টিকা দানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসচিব মো. সাইদুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া, ইউনিসেফের প্রতিনিধিত্বকারী দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজেশ নরওয়ানসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এমআর//