নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করলেন মারিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তা উৎসর্গ করেছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা ও মানবাধিকারকর্মী মারিয়া করিনা মাচাদো।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে নোবেল কমিটি এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মারিয়া করিনা মাচাদোকে নির্বাচিত করেছে।
এরপর এক্সে পোস্ট দেন মারিয়া। এতে তিনি লিখেছেন, “সকল ভেনিজুয়েলানদের সংগ্রামের এই স্বীকৃতি (নোবেল পুরস্কার) আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আর সেই লক্ষ্য হলো স্বাধীনতা অর্জন।”
তিনি আরও লেখেছেন, “আমরা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান সহযোগী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে স্মরণ করছি।”
শেষে তিনি বলেন, ““আমি এই পুরস্কারটি ভেনিজুয়েলার সেই নিপীড়িত জনগণের প্রতি এবং আমাদের সহায়তা করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি।”
গেল কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যমগুলোতে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের কথা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে মাচাদো তোর নোবেল পুরস্কার উৎসর্গ করলেন।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের আপোষহীন নেত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ বলেছে, ‘শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প নোবেল না পেলেও তিনি শান্তির জন্য কাজ করে যাবেন।’
বিবৃতিতে তারা বলেছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চুক্তি, যুদ্ধ বন্ধ, জীবন রক্ষার কাজ অব্যাহত রাখবেন। তার রয়েছে একটি মানবিক হৃদয়। তার মতো আর কেউ হবে না, যিনি তার নিজের ইচ্ছার শক্তিতে পর্বতকে নড়াতে পারেন। নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে তারা শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।”
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেন, যখন স্বৈরাচারীরা ক্ষমতা দখল করে, তখন যারা ভয় না পেয়ে রুখে দাঁড়ান, তারাই প্রকৃত শান্তির দূত। তিনি বলেন, মাচাদোর অবস্থান লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, যা রাজনৈতিক প্রচারের চেয়ে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
৫৮ বছর বয়সি শিল্প প্রকৌশলী মারিয়া করিনা ২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের মনোনীত প্রার্থী হন। কিন্তু দেশটির শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আদালতের মাধ্যমে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। যে কারণে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে ক্ষমতায় থাকা নিকোলাম মাদুরোকে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি তিনি।
এএইচ