ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদে ফিরলেন পদত্যাগকারী লেকর্নু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ১২:০০ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

সদ্য পদত্যাগকারী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু আবারও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদে ফিরলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এলিসি প্রাসাদে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে লেকর্নুকে পুনর্বহালের ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেকর্নু এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সরকার গঠনের কাজও করবেন।
প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানিয়েছে সেবাস্তিয়ানও। সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি জানান, চলতি বছরের শেষের দিকেই তিনি ফ্রান্সের জন্য একটি বাজেট অনুমোদন ও সরকারি অর্থ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক সংকট এবং ফ্রান্সের ভাবমূর্তি ও স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর অস্থিতিশীলতার ইতি টানতে হবে।’
কয়েকদিন আগেই এই পদ চান না বলে ক্ষমতা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নতুন বাজেট উপস্থাপনের শেষ সময় ঘনিয়ে আসায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আগামী সোমবারের মধ্যেই সংসদে ২০২৬ সালের বাজেট উপস্থাপন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এই পুনর্নিয়োগকে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের জন্য এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা চলছিল সমাধান খুঁজে বের করতে।
শুক্রবার ম্যাক্রোঁ চরম দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) ও বামপন্থী ফ্রান্স আনবাউড বাদে অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে এলিসি প্রাসাদে বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে সব রাজনৈতিক দলকে ‘সমষ্টিগত দায়িত্বের মুহূর্ত’ হিসেবে বিষয়টি স্বীকার করতে আহ্বান জানায়। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, যদি ম্যাক্রোঁর পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়া হয়, তবে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন।
২৭ দিন দায়িত্বে থাকার পর গত সোমবার (৬ অক্টোবর) ৩৯ বছর বয়সী লেকর্নুর পদত্যাগ করেন। ওই দিন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করার পর এ ঘোষণা দেন তিনি।
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান ফ্রাঁসোয়া বাইরুর সরকার। পরে (১০ সেপ্টেম্বর) সেবাস্তিয়ান লেকর্নুরকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
গত বছরের জুলাই থেকে ফ্রান্সের রাজনীতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে যেকোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিল এবং বার্ষিক বাজেট পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও নিজের ঘনিষ্ঠ লেকর্নু ম্যাক্রোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী।
এএইচ