ঢাকা, শনিবার   ১১ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩২

এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকা হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার টাকার মধ্যে উচিত বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেছেন, দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ, এর দাম ১ হাজার টাকা মধ্যে হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ১২০০ টাকা দামের সিলিন্ডার অনেক জায়গায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই দামের নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতের কাজ বাড়ানো প্রয়োজন। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোন্র স্বাভাবিক সংকট নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থার ফল, যা ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় গ্যাস সরবরাহের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়েছে, ফলে শিল্প ও গৃহস্থালিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগও হয়েছে।’

ফওজুল কবির খান বলেন, ‘স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর কমছে। প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন কমছে। ঘাটতি মেটাতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, যদিও এর দাম বেশি বলে সমালোচনা হচ্ছে।’

এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া দরকার, তাই স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি মেটাতে এলপিজি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

এএইচ