ঢাকা, রবিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২

দেশে প্রথম টাইফয়েড টিকাদান শুরু, পাবে ৫ কোটি শিশু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। 

রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টাইফয়েডে এখনো দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়—এটা আমাদের লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব ইনশাআল্লাহ।’

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য— রোগ প্রতিরোধ। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।’
 
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা যদি প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা সম্ভব হবে। এ উদ্যোগ আমাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে।’ 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। 

অধিদপ্তর জানিয়েছে, জন্মসনদ না থাকা শিশুরাও এই টিকা পাবে।

দেশে টাইফয়েডের টিকার এটাই প্রথম ক্যাম্পেইন। টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকার এই টিকা পেয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্যাভির কাছ থেকে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এটি নিরাপদ। টিকাটি নেপাল, পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে দেওয়া হয়েছে। এই টিকার বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো উদাহরণ নেই। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। 

এর বাইরেও ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। শহর এলাকার পথশিশুদের টিকা দেবে এনজিওরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এএইচ