ঢাকা, সোমবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২

ফরিদপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩১ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ওয়াদুদ মাতুব্বর (৪৬) ও তার স্ত্রী রুমা আক্তারের (৪১) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাশ বাদী হয়ে ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে পৃথক এ মামলা দুটি  দায়ের করেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ওয়াদুদ মাতুব্বর তার সম্পদ বিবরণীতে মোট ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। তবে অনুসন্ধানে ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩১ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া ২০১২-১৩ সাল থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আয়কর রিটার্নের তথ্যমতে তার বৈধ সম্পদের পরিমাণ ৩১ লাখ ২০ হাজার ১৬৭ টাকা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওয়াদুদ মাতুব্বর ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং ২০ লক্ষ টাকা ঋণের মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের তুলনায় ৫৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৬৪ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, ওয়াদুদ মাতুব্বরের স্ত্রী রুমা আক্তার ৭৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৯৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে তার নামে এক কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ১৩৭ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদের সন্ধান পায় দুদক, যা তার বৈধ আয় ১৯ লক্ষ ৭২ হাজার ৬১৭ টাকার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এই সম্পদের মধ্যে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর তারা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এবং ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

 ওয়াদুদ মাতুব্বর ২০১৮ ও ২০২৪ সালে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে আছেন তিনি । 

ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন, মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যের ভিত্তিতে এ মামলা করা হয়েছে।

এমআর//