প্রেমিকার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে র্যাবের হাতে যুবক আটক
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার

প্রেমিকার নগ্ন ছবি সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়া নাহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানাধীন কলেজ পয়েন্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এএসপি মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-২, মৌলভীবাজারের একটি আভিযানিক দল গত ১১ অক্টেবর আনুমানিক রাত ২২.৪৫ ঘটিকায় মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানাধীন কলেজ পয়েন্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১নং পলাতক আসামি নাহিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত নাহিদ মিয়া (২৫), পিতা- মসুদ মিয়া, সাং- কাটাজুড়ি, থানা- রাজনগর, জেলা- মৌলভীবাজার। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ১২ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী যুবতী মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন কামালপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার এলাকার একজনের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে নাহিদ মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ভিকটিম তার পরিবারের অজান্তে ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে বিবাদী ভিকটিমকে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করলে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। একই সাথে খারাপ উদেশ্যে নাহিদ ভিকটিমকে বাধ্য করে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তার কাছে রাখে।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভিকটিম নাহিদকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে নাহিদ তাকে জোরপূর্বক ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করেন। পরবর্তিতে বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবারকে জানালে স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে শালিশ বৈঠকে বিবাহ করার কথা বললে বিবাদী সম্মতি প্রকাশ করে। কিন্তু নাহিদ সালিশে বিবাহের কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিবাদীকে বিবাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং গত ১১ জুন একটি ফেইক আইডিতে ভিকটিমের নগ্ন ছবি আপলোড করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামি নাহিদ আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়।
এএইচ