কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার

কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। দোহায় আলোচনার পর তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
রোববার (১০ অক্টোবর) ভোরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল শনিবার দোহাতে যায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। ওই সময় দুই দেশ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। দোহায় এ আলোচনায় কাতারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে তুরস্কও।
এ যুদ্ধবিরতি যেন কার্যকর থাকে সেটি নিশ্চিতে দুই দেশ ফলোআপ বৈঠক করবে বলেও জানিয়েছে কাতার।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ আলোচনায় আফগানিস্তানের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব। অপরদিকে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
পাকিস্তান অভিযোগ করছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকা ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের মদদ দিচ্ছে কাবুল। তারা এই মদদ বন্ধের দাবি করছে দীর্ঘদিন ধরেই। এরমধ্যে দুই সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর প্রতিশোধ নিতে সীমান্তে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায় আফগান সেনারা। এরপর এটি বড় সংঘর্ষে রূপ নেয়। যা কেড়ে নিয়েছে কয়েকশ’ প্রাণ।
গত সপ্তাহে দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও এরআগে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যুদ্ধবিরতির চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ওই সময় পাকিস্তান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
আফগানিস্তান শুরু থেকে দাবি করছে, তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দেয় না।
গত শুক্রবার আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সন্ত্রাসীরা আত্মঘামী বোমা হামলা চালিয়ে সাত সেনাকে হত্যা করে। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ ধারণ করে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে কাতার ও তুরস্কের এ কূটনৈতিক উদ্যোগকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, এই যুদ্ধবিরতি কতটা স্থায়ী হয় এবং উভয় পক্ষ কতটা আন্তরিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে পারে।
এএইচ