যে অসদাচরণের কারণে `আয়না` থেকে বাদ পড়লেন সমৃদ্ধি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ১১:২৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার

একুশে টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘আয়না’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করতেন সমৃদ্ধি তাবাসসুম। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন মডেল অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থাপিকা আমন্ত্রিত অতিথি পিয়া জান্নাতুলের কাছে জনতে চান কোন ধরনের প্রশ্নে তিনি বিব্রত বোধ করেন। এই প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেছিলেন “আসলে বিব্রত কর প্রশ্নের প্রচলন শুরু করেছে জয় ভাই (শাহরিয়ার নাজিম জয়) আর এখন এটা ট্রেন্ডে চলে এসেছে।”
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রচারিত এই ক্লিপটি যখন একুশে টেলিভিশনের সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয় তখন মুহুর্তের ভিতর তারকাদের প্রশংসায় ভাসতে থাকেন পিয়া জান্নাতুল। কিন্তু পিয়াকে প্রশংসা করাতে সমৃদ্ধি এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তখন অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট প্রযোজককে ফোনে না পেয়ে অনুষ্ঠানের সহকারী প্রযোজককে প্রচারিত ক্লিপটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সমৃদ্ধি। জবাবে সহকারী প্রযোজক সমৃদ্ধিকে অনুরোধ করেন অনুষ্ঠানের প্রযোজকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এর জন্য ঐ সহযোগী প্রযোজক দুই ঘন্টা সময় চেয়েছিলেন সমৃদ্ধির কাছে। কিন্তু উপস্থাপিকা সেই সময়ের অপেক্ষা না করে একুশে টেলিভিশনের ডিজিটালের সাবেক এক কর্মকর্তার শরণাপন্ন হয়ে কনফারেন্স কলের মাধ্যমে একুশে টেলিভিশনে সদ্য জয়েন করা একজন আপলোডারকে দিয়ে জোর পূর্বক সেই ভিডিও ক্লিপটি ডিলিট করান। যা একটি অপেশাদার আচরণ এবং অপরাধের সামিল।
সমৃদ্ধির এই অসদাচরণ এবং অপরাধের জন্য একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এই অপরাধের জন্য একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সেই আপলোডারকে চাকুরীচ্যুত করেন এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে সমৃদ্ধিকে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ অসদাচরণের অভিযোগে ‘আয়না’ অনুষ্ঠান থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত ২৮ আগষ্ট থেকে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে কোন অতিথিকে কোন ধরনের অস্বস্তিকর প্রশ্ন একুশে টেলিভিশনের আয়না অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট প্রযোজক সমৃদ্ধিকে দেয়নি। এমনকি কোন অতিথিকে তাৎক্ষণিক ভাবে যদি কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় আর তার উত্তর যদি বিব্রতকর হয় সেটি এডিট প্যানেলে সচেতন ভাবেই কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
এমআর//