রাজধানীতে গণপরিবহনে একুশে টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক হেনস্তার শিকার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২৬ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
নারী সাংবাদিককে হেনস্তাকারী যুবক
রাজধানীর গণপরিবহনে একুশে টেলিভিশনের এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে শ্যামলি শিশুমেলার সামনে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিক একুশে টেলিভিশনের ডিজিটাল বিভাগে কর্মরত। তিনি জানান, অফিস শেষে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বেতার ভবনের উদ্দেশে প্রজাপতি বাসে উঠেছিলেন। বাসের নারীদের জন্য বরাদ্দ সিটে বসে থাকাকালীন পাশের আসনে এক যুবক এসে বসে। কিছুক্ষণ পর ওই যুবক তার শরীরে স্পর্শ করতে থাকে।
প্রথমে বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভেবে সহ্য করলেও কিছু সময় পর যুবকটি পুনরায় একই আচরণ করলে তিনি প্রতিবাদ জানান। এতে যুবকটি ক্ষিপ্ত হয়ে নারী সাংবাদিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। পরে বাসের অন্যান্য যাত্রীরা যুবকটিকে নিবৃত্ত করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, ‘এতোটা বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তা ভাবিনি। আমি বারবার বলেছি ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে, কিন্তু যাত্রীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি তার ছবি তুলেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে নারীরা কীভাবে নিশ্চিন্তে গণপরিবহনে চলাচল করবে? প্রতিদিনই নারীদের এমন ভয়ের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
এদিকে বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, দেশের নগর গণপরিবহনে নারীদের ৮৩ শতাংশই কখনও না কখনও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংগঠনটির পক্ষে পাহাড়ি ভট্টাচার্য বলেন, নগর গণপরিবহন কাঠামোগতভাবে নারীবান্ধব নয়। বাসের দরজা সরু, আসন অপরিষ্কার, ইঞ্জিনের পাশে নারীদের বসানো হয়—ফলে তাঁদের শরীর মাড়িয়ে পুরুষ যাত্রীরা ওঠানামা করেন। বাসের দরজা যদি মধ্যভাগে করা হয় এবং নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব নকশা প্রণয়ন করা হয়, তবে এমন হয়রানি অনেক কমে যাবে। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনেও পুরুষ যাত্রীরা নিয়মিত বসে যাতায়াত করেন, এ নিয়েও কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও যোগ করেন, রোদ-বৃষ্টি বা অফিসপিক সময়ে নারীদের অনেক সময় বাসে তুলতেই চান না চালক-সহকারীরা। আমরা নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
এমআর//
