পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভুলভাবে উপস্থাপন বিষয়ে সরকারের বিবৃতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পশ্চিম তীর’ বা অন্য কোনো অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে তুলনা করার প্রচেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের মতে, এ ধরনের উপমা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার চরম বিকৃতি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন একক রাষ্ট্র এবং এর সার্বভৌম ভূখণ্ডের কোনো অংশই কোনো ধরনের দখলদারত্বের অধীনে নেই।
সম্প্রতি ‘নেত্র নিউজ’ এর সাম্প্রতিক এক ফটোস্টোরি ফিচার বা নিবন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত’,‘সামরিকীকরণ’ বা ‘সামরিক শাসনাধীন’অঞ্চল হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
এ ধরনের বর্ণনা প্রকৃত অর্থে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশি জাতির প্রতি অসম্মানজনক বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সর্বদা বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং এখনো রয়েছে। এই অঞ্চলটি বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়, সামরিক শাসনের অধীনে নয়।দেশের অন্যান্য অংশের মতোই শান্তি নিশ্চিত করতে, সকল নাগরিককে সুরক্ষা দিতে এবং স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা মানবাধিকার সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগের ওপর বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণভিত্তিক প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। আজ পর্যন্ত এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনো প্রমাণিত অভিযোগ বা যাচাইকৃত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্যায়ন করে। তবে সংবেদনশীল ও জটিল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় তথ্যনির্ভরতা, পেশাদারিত্ব ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা প্রত্যাশা করি, গণমাধ্যম ও সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় বাস্তবতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে।
এমআর//
