ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২২ ১৪৩২

বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশ পুরষ্কার ‘দ্য আর্থশট-২০২৫’ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ এনজিও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৫৭ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশ পুরষ্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ (এনজিও)। ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট ক্যাটাগরিতে ম্যানগ্রোভ প্রকল্পের জন্য এই পুরষ্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর)  ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ফ্রেন্ডশিপ পুরষ্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ১০ লাখ পাউন্ড অনুদান পাবে। 

যুক্তরাজ্যের মহামান্য প্রিন্স উইলিয়াম-এর পক্ষ থেকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ফ্রেন্ডশিপ-এর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। 

এসময় মহামান্য প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, “২০২০ সালে দি আর্থশট প্রাইজ প্রতিষ্ঠা করার সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল আগামী দশ বছরকে এমন এক দশকে পরিণত করা, যখন আমরা পৃথিবীকে আরও ভালো কিছুর দিকে রূপান্তরিত করব। এই মিশনকে এগিয়ে নিয়েছে সেই অসাধারণ আশাবাদ, যা আমরা বিজয়ীদের মধ্যেও অনুভব করেছি। তাদের কাজ প্রমাণ করে যে, অগ্রগতি সম্ভব আর তারাই আসলে বিশ্বের সত্যিকারের ‘অ্যাকশন হিরো’।

পুরষ্কার গ্রহণ করে ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান বলেন, “দ্য আর্থশট প্রাইজ প্রাপ্তি আমাদের জন্য এক বিরাট সম্মান। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৃঢ়তা ও উদ্ভাবনকে তুলে ধরে। এই অর্জন সবার, বিশেষ করে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠী এবং যাদের সাথে এবং যাদের জন্য আমরা কাজ করি। এই পুরস্কার আমাদের অঙ্গীকার ও দায়িত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং আমরা আগামীতে আরও নিবেদিতভাবে কাজ চালিয়ে যাব।

ফ্রেন্ডশিপ তাদের চার অঙ্গীকার; জীবন রক্ষায় প্রচেষ্টা, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু অভিযোজন এবং সক্ষমতাবৃদ্ধি। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু কর্ম, অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিকত্ব, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ—এই ছয়টি পারস্পরিক সংযুক্ত খাতে একীভূত সেবা দিয়ে একটি টেকসই ও পুন:ব্যবহারযোগ্য উন্নয়ন মডেল বাস্তবায়ন করে, যা সার্বিকভাবে স্থানীয় জনযোগষ্ঠীর উন্নয়নে অবদান রাখে। এর আগে, ৫ অক্টোবর তারিখে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক আর্থশট ফাউন্ডেশন ২০২৫ সালের ফাইনালিস্টদের তালিকা ঘোষণা করেছিল।

প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২০০ হেক্টরেরও বেশি এলাকায় ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণেও অংশ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 
 
উল্লেখ্য, ফ্রেন্ডশিপ পূর্বেও রয়েল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২১ জিতেছিল এবং আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ পেয়েছিল।

এমআর//